বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম টালিউড সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’। থ্রিলার ঘরানার গোয়েন্দা গল্পে সিনেমাটি বানিয়েছেন দেবরাজ সিনহা। গত বছর হয়েছে সিনেমার শুটিং। শুরু থেকেই ফেলুবক্সী নিয়ে এক্সাইটেড ছিলেন পরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত সিনেমার আপডেট দিয়েছেন। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ফেলুবক্সী। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও ভিসা জটিলতার কারণে সিনেমা মুক্তির সময় ভারতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না পরীমণি। তাই ফেলুবক্সী নিয়ে এত দিনের উত্তেজনা আজ মন খারাপে রূপ নিল পরীর।
পরীমণি বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল টিমের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করব। কিন্তু সেটা আর হলো না। আমার অনেক মন খারাপ। আমার সিনেমা মুক্তি পাবে ভারতে; তবে আমি সেখানে যেতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, খুব বড় করে সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে, এটা অনেক আনন্দের বিষয়।’
পরী আরও জানান, ভিসা জটিলতার কারণে দেশে বসেই করেছেন সিনেমার ডাবিং। পরীমণি বলেন, ‘ভিসার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। পরিকল্পনা ছিল আমি যাব, তারপর সেখানেই ডাবিং করব। তবে সেটা তো আর হয়নি। তখন ওরা আমাকে ভারত থেকে ফাইল পাঠায় ডাবিং করতে। আমি রাত জেগে ডাবিং করেছি। ডাবিংয়ের সময় পরিচালকসহ পুরো টিমের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে। সে সময় থেকেই আমার মন খারাপের শুরু।’
সিনেমার গল্প ও চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাইলেন না পরীমণি। শুধু জানালেন, নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। পরীর ভাষ্য, ‘সাধারণত বাণিজ্যিক সিনেমায় নায়িকা শুধু নায়কের সঙ্গে নাচাগানা, প্রেম করে। আর দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই চেনা গণ্ডিতে সারাক্ষণ থাকতে ভালো লাগে? ফেলুবক্সীর গল্প শোনার পর মনে হলো, নায়িকা না হয়ে আমি যেটা বেছে নিয়েছি, সেটা করলে অভিনয়ের অনেক সুযোগ পাব। ওই চরিত্রেই আমায় বেশি মানাবে। আমরা নিজেরাই যদি ছক না ভাঙি, তাহলে আর কবে এগোব? দিন বদলেছে। এখন নায়িকার থেকেও অভিনেত্রী শব্দটি বেশি পছন্দ সবার। পর্দায় কতক্ষণ দেখা গেল, এটা নিয়ে কেউ আর মাথা ঘামান না। কত বেশি দর্শকমনে থেকে যেতে পারলাম, সেটাই আসল কথা।’
ফেলুবক্সীতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোহম চক্রবর্তী। এই ফেলুবক্সী ভীষণ আধুনিক। সব সময় প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। সে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের সন্তান। খেতে খুব ভালোবাসে। রহস্যের সমাধান করা তার সবচেয়ে পছন্দের কাজ। সোহম-পরীমণি ছাড়া ফেলুবক্সী সিনেমায় আরও আছেন মধুমিতা সরকার।