বিনোদন ডেস্ক
কয়েক দিন আগেই অভিনয় থেকে বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। লাল সিং চাড্ডার ব্যর্থতার পর, পরিবারকে সময় দেওয়ার কারণ দেখিয়ে এই বিরতি নেন তিনি।
সম্প্রতি আমির একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর ক্যারিয়ারের অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও তাঁর নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সেখানেই মহেশ ভাটের ছবি প্রত্যাখ্যান করার তথ্য জানান তিনি। আমির খান তাঁর ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টে মহেশ ভাটকে ‘না’ বলেছিলেন।
হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, ‘ক্যারিয়ারে আমি তখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। সে মুহূর্তে মনে হচ্ছিল, একটি বদ্ধ জলাশয়ে পড়ে আছি এবং ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো কাজের জন্য উদ্গ্রীব ছিলাম। ঠিক সেই সময়, মহেশ ভাটের কাছ থেকে একটি ছবির প্রস্তাব পেয়ে স্বস্তি পেয়েছিলাম। কারণ ভাট সেই সময়ে একজন সফল পরিচালকদের একজন, যিনি সারানাশ, আর্থ, নাম–এর মতো হিট ছবি নির্মাণ করেছেন।’ আমির আরও বলেন, ‘কিন্তু এই প্রস্তাবে আমার মনে হয়েছিল ছবিটির জন্য দর্শকদের ৩–৪ বছর অপেক্ষায় রাখতে হবে।’
আমির আরও বলেন, ‘এই সুযোগের পর আমার মনে হচ্ছিল আমি নতুন জীবন পাচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে দু-তিনটি ফ্লপ সিনেমা আমি সামলে নিতে পারব। আমি মহেশ ভাটের বাড়িতে সিনেমাটির গল্প শুনতে গিয়েছিলাম। আমি একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যদি প্রযোজক, পরিচালক বা গল্প পছন্দ না হয় তবে ছবিটি করব না। আমি তাঁর বাড়িতে যাওয়ার পর গল্পটি আমার পছন্দ হয়নি এবং সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর থেকে একটি দিন চেয়ে নিয়েছিলাম। আমি বাড়িতে ফিরে আমার স্ত্রী (তৎকালীন) রীনাকে বলেছিলাম, আমি ভাটের ছবিটি করতে চাই, কিন্তু গল্পটা আমার পছন্দ হয়নি।’
আমির জানতেন যে তিনি যদি ভাটের গল্পে ‘হ্যাঁ’ বলেন তবে এটা তাঁর স্বপ্নের সঙ্গে আপস করা হবে। কিন্তু তিনি এও জানতেন, ‘না’ বললে একটি সুযোগ হারাবেন। সেই রাতে তিনি ঘুমাতে পারেননি। যখন ভাটের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখনো মনের কথাটি বলতে পারেননি।
আমির বলেন, ‘আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনাকে “হ্যাঁ” বলতে পারব না, কিন্তু না বলার আমি কে? আপনি একজন সফল পরিচালক। কিন্তু আমি কেবল আপনাকে আমার অনুভূতি বলতে পারি, আমি ছবিটি করতে পারব না। এর পরে, আপনি আমাকে ভবিষ্যতে আর কাজ নাও দিতে পারেন, কিন্তু আমাকে ক্ষমা করবেন, আমি ছবিটি করতে পারব না।’
আমিরের ভাষায়, ভাট ব্যাপারটি সুন্দরভাবেই নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘কেন আমি গল্পটি পছন্দ করিনি তা নিয়ে আমাদের অনেকবার কথোপকথন হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তটি একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সবচেয়ে দুর্বল পরিস্থিতিতেও আমি আমার স্বপ্নের সঙ্গে আপস করিনি।’