অনলাইন ডেস্ক
উত্তরাঞ্চলের মতো খুব তীব্র না হলেও নতুন বছরে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি বেশ; মৃদু হিম হাওয়ার সঙ্গে হালকা কুয়াশাও আছে। উত্তরের কিছু জেলায় কদিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তবে আজ শুক্রবার কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ কমে আসতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়কযোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। তবে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
তাপমাত্রা পরপর দু-তিন দিন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। উত্তরে কয়েক দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়—৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত বুধবার তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়ার মতোই দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। গতকাল দিনাজপুরের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
গতকাল দেশের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের খুব কাছাকাছি ছিল। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও ডিমলায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি করে এবং পাবনার ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।