অনলাইন ডেস্ক
করোনার মতো তিনটি ভাইরাস পাওয়া গেছে চীনের প্রতিবেশী দেশ লাওসে। সেখানকার বাদুড়ের দেহে এই ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। আর এই ভাইরাসটি বাদুড় থেকে সরাসরি মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে। এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য ‘নেচার’ সাময়িকীতে পাঠানো হয়েছে।
মহামারি করোনার উৎস নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করা থেমে নেই। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে চীনের ল্যাব থেকে করোনার উৎপত্তি। কিন্তু চীন নাকচ করে দিয়েছে কবেই। উৎসের খোঁজ করতে চলছে তদন্ত। এখানেও বিপত্তি বেঁধেছে সেই ‘দোষারোপ’। যুক্তরাষ্ট্র বলছে তদন্তে চীন সহায়তা করছে না। কিন্তু চীন বলছে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গবেষকদলের প্রধান মার্ক ইলোইট জানিয়েছেন, মিল থাকলেও সার্স কোভ-২ ও লাওসে পাওয়া ভাইরাসগুলোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
গবেষক দলের সদস্য যুক্তরাজ্যের গ্ল্যাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাসবিদ ডেভিড রবার্টসন একে অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে এর সঙ্গে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘এরা মানুষের দেহে প্রবেশের সক্ষমতা রাখে। ফলে সাবধানী হতে হবে। যেকোনো সময় এরাও মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।’
লাওসের গুহায় ৬৪৫টি বাদুড়ের ওপর গবেষণা করে পাওয়া তিনটি ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বানাল-৫২ ’, ‘বানাল-১০৩’ ও ‘বানাল-২৩৬ ’। দলটির কয়েকজন গবেষক জানান, এই নমুনা এটা প্রমাণ করে যে প্রকৃতিতে করোনা থাকতে পারে। এমনও হতে পারে যে এরা প্রকৃতি থেকেই মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে।