অনলাইন ডেস্ক
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর শিশাওয়েন এলাকায় গভীর কূপে পড়ে যাওয়া পাঁচ বছরের শিশু রায়ানকে উদ্ধার করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দেশটির উদ্ধারকারী বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। কূপের একেবারে তলদেশে শিশুটি আটকে পড়ায় অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩২ মিটার গভীর কূপটির উপরিভাগের ব্যাস ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেন্টিমিটার)৷ ধীরে ধীরে তলদেশের দিকে কূপটি একেবারে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে চার দিন ধরে শিশুটি আটকে রয়েছে।
হাড় হিম করা ঠান্ডায় গভীর কূপে রয়েছে শিশুটি। তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাবার। কিন্তু সেই খাবার আদৌ খেতে পেরেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। নলের মাধ্যমে তার কাছে অক্সিজেন ও পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শিশুটিকে বাঁচাতে অনুভূমিকভাবে খনন শুরু হবে।
রায়ানকে উদ্ধারের জন্য নেতৃত্ব দেওয়াদের একজন আবদেসালাম মাকৌদি। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে বলেন, ‘আমরা প্রায় চলে এসেছি। আমরা তিন দিন ধরে অবিরাম কাজ করছি এবং ক্লান্তি নেমে আসছে, কিন্তু পুরো উদ্ধারকারী দল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রায়ানের দুর্ঘটনার সময় তাঁর বাবা ওই কুয়া মেরামত করছিলেন। তিনি জানান, চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিশুটির মা।
মরক্কোর সংবাদমাধ্যম এলই৩৬০-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক মুহূর্তে সে কূপের মধ্যে পড়ে গেল। তখন থেকে আমি এক পলক ঘুমাইনি।’