অনলাইন ডেস্ক
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। গতকাল সোমবার নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তবে কবে নাগাদ এই সাক্ষাৎ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
এই বৈঠক নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এখন আলোচনা তুঙ্গে। ধারণা করা হচ্ছে, ‘জিওলজিক্যাল আলফা মেল’ হিসেবে পরিচিত এ দুই নেতা ভবিষ্যতের বিশ্বব্যবস্থা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর দুই দেশের নেতাদের এটিই প্রথম বৈঠক। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এ সংঘাত পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ফাটল সৃষ্টি করেছে।
যুদ্ধ বন্ধের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ থামানোর একটাই উপায় আছে এবং সেটা পুতিনের ওপর নির্ভর করছে। আমি মনে করি না, যুদ্ধ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে তিনি খুব সন্তুষ্ট। কারণ, এটি তাঁর জন্যও ভালোভাবে যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি, তিনি সাক্ষাৎ করতে চান এবং আমি খুব দ্রুতই সাক্ষাৎ করব। আমি আগেও সাক্ষাৎ করতে পারতাম, কিন্তু কিছু কাজের জন্য আমাকে অফিসে থাকতে হয়েছে।’
মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও হবু জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেছেন, ‘আগামী কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে একটি ফোনালাপ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।’
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৯৬২ সালে কিউবান মিসাইল সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে এর চেয়েও বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৯৬২ সালে কিউবান মিসাইল সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে এর চেয়েও বড় সংকট সৃষ্টি হয়েছে।