অনলাইন ডেস্ক
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ও তার বংশধরদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। আজ শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা দাবি করেন, ‘আওরঙ্গজেবের বংশধরেরা এখন কলকাতার আশপাশে বসবাস করছেন এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘ইতিহাসের ঐশ্বরিক ন্যায়বিচারের উদাহরণ এটি। আওরঙ্গজেব যদি ভগবানের অবজ্ঞা না করতেন এবং মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনার ওপর আঘাত না হানতেন, তাহলে হয়তো তার বংশধরেরা আজ এই অবস্থায় পড়তেন না।’
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে হিন্দুদের ওপর হওয়া নির্যাতন প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘সনাতন ধর্ম সব সময় সবাইকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু হিন্দুরা কি সেই একই আচরণ পেয়েছে? বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে যা ঘটেছে, তা হিন্দুদের ওপর চলমান চ্যালেঞ্জের প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাশী বিশ্বনাথ ধাম, অযোধ্যা, সাম্ভল (যা কল্কি অবতারের সঙ্গে সম্পর্কিত) এবং ভোজপুরসহ অনেক মন্দির ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’
১৭ শতকের শাসক আওরঙ্গজেব ভারতীয়দের ইতিহাসে বরাবরই একটি বিতর্কিত নাম। একদিকে তিনি দক্ষ প্রশাসক হিসেবে প্রশংসিত, অন্যদিকে হিন্দুদের কাছে তাঁর শাসনামলে মন্দির ধ্বংস এবং ধর্মীয় নীতি নিয়ে হয় প্রচুর সমালোচনা।
যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিরোধীরা এই বক্তব্যের নিন্দা করে বলেছেন, এটি ঐতিহাসিক তথ্যের অপব্যাখ্যা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির প্রচেষ্টা।