হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

গরিব দেশে এইচআইভি–যক্ষ্মাসহ জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক

ওষুধ সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের ওষুধ এবং নবজাতকদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির সহায়তা ভোগী বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো। এ নির্দেশ-সংক্রান্ত এক নথির বরাতে আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

গতকাল সোমবার ইউএসএআইডির প্রায় ৬০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর এই ওষুধ সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।

রয়টার্সের পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, ইউএসএআইডির সঙ্গে সরবরাহে জড়িত ঠিকাদার ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চেমনিক্সকে পাঠানো একটি নথি পেয়েছে রয়টার্স। চেমনিক ইউএসএআইডির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগের ওষুধ সরবরাহে কাজ করে।

ওই নথিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি এইচআইভি, ম্যালেরিয়া এবং টিউবারকুলোসিসের পাশাপাশি গর্ভনিরোধক, প্রসূতি ও শিশুস্বাস্থ্য সরঞ্জাম নিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ পেয়েছে। এক ইউএসএআইডি সূত্র ও একজন সাবেক ইউএসএআইডি কর্মকর্তার কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে রয়টার্স।

রয়টার্স চেমনিক্স ও ইউএসএআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।

গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন সহায়তা ও অর্থায়ন স্থগিতের নির্বাহী আদেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের অংশ হিসেবে ওষুধ সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটির বিভিন্ন অংশ পুনর্মূল্যায়নের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সব মানবিক সহায়তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ছিল ৪২ শতাংশ। এই সরবরাহ বন্ধের পদক্ষেপে বিশ্বের বৃহত্তম একক দাতার সরবরাহকৃত বিলিয়ন ডলারের প্রাণরক্ষাকারী সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

এসব পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী সহায়তা কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে এই সরবরাহ বন্ধ হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তা খাতে গভীর সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।

চলতি মাসেই ইউএসএআইডির বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো অতুল গাওয়ান্দে বলেন, ‘এটি একটি বিপর্যয়। বিশ্বজুড়ে দুই কোটি এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের জীবন রক্ষায় ওষুধগুলো ব্যবহৃত হচ্ছিল। কিন্তু তা আজ বন্ধ হয়ে গেল।’

অতুল গাওয়ান্দে আরও বলেন, ‘চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে রোগীদের আবার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে এইচআইভির ক্ষেত্রে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রোগগুলোর ওষুধ-প্রতিরোধী নতুন ধরনের উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়।’

ওষুধ সরবরাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই ধরনের নির্দেশনা অন্য সহযোগীরাও পেয়েছেন। যার অর্থ, ওষুধ থাকা সত্ত্বেও তারা ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহ করতে পারবেন না। আর ক্লিনিকগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে চলে, তবে সেগুলো খুলতেও পারবেন না।

গাওয়ান্দে বলেন, এর মধ্যে এমন সংস্থাও রয়েছে, যারা ২৩টি দেশে ৬৫ লাখ এতিম ও দুর্বল শিশুদের এইচআইভি সংক্রান্ত সহায়তায় কাজ করছে।

ফের রাশিয়ার গ্যাস কেনার কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বিক্রির জন্য রাখা পুরোনো জিনিসপত্রে ভ্যান গগের আসল চিত্রকর্ম!

নারী সম্রাট করার প্রস্তাব দিয়ে জাপানের রোষের মুখে জাতিসংঘ

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

দাবানলের সময় বাড়িতে আটকে পড়েছিলেন মেরিল স্ট্রিপ

উজবেক নারীদের রান্না করা খাবারের অভিনব প্ল্যাটফর্ম ‘কুজিন’

ওয়াশিংটনে হেলিকপ্টার-উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: কেউ বেঁচে নেই বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা

টিকটক করার জন্য পাকিস্তানে বাবার গুলিতে মার্কিন কিশোরী নিহত

পাঁচ থাই ও ৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিল হামাস

৩০ হাজার অভিবাসীকে কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

সেকশন