অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন সিনেটের শুনানিতে কঠিন সময় পার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মনোনীত পিট হেগসেথ। শুনানিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও অতীতের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে কঠোর প্রশ্ন করা হয়। তবে নতুন করে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, হেগসেথ তাঁর সন্তানদের নাম বলার সময় এক সন্তানের নাম ভুলে গিয়েছিলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর সময় হেগসেথ তাঁর সন্তান রেক্সের নাম বলতে গিয়ে থেমে যান এবং বলেন, ‘মনে রাখা কঠিন, সংখ্যা তো কম নয়।’
পিট হেগসেথের সাতটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে চারজন তাঁর নিজের এবং বাকি তিনজন সৎ সন্তান। তাঁর বর্তমান ও তৃতীয় স্ত্রী জেনিফারের সঙ্গে তাঁর এক কন্যা রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী সামান্থা ডিয়ারিংয়ের সঙ্গে তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে। এ ছাড়া তিনি জেনিফারের আগের সম্পর্কের তিন সন্তানের সৎপিতা।
পিট হেগসেথ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার অন্যতম বিতর্কিত প্রার্থী। তিনি এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। হেগসেথ দাবি করেন, এটি ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হওয়া একটি ঘটনা। কিন্তু পরে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। যদিও তিনি এই ঘটনায় কখনো অভিযুক্ত হননি। তবে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর এই অভিযোগ আবার সামনে এসেছে।
শুনানির সময় ডেমোক্রেটিক সিনেটর টিম কেইন হেগসেথকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এই ঘটনাগুলো জেনে আমি বিস্মিত যে আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করছেন।’
হেগসেথ পাল্টা উত্তর দেন, ‘এই অভিযোগগুলো মিথ্যা ছিল এবং পুরোপুরি তদন্তের পর আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।’
কেইন আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘আপনি স্বীকার করেছেন, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ওই হোটেলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। আপনি আরও স্বীকার করেছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহিত থাকা অবস্থায়, যখন তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সন্তান হয়েছে, তখন এই ঘটনা ঘটেছিল।’
তবে হেগসেথ বারবার দাবি করেন, ‘এটি তখন মিথ্যা অভিযোগ ছিল এবং এখনো তাই।’
এদিকে আইওয়া ন্যাশনাল গার্ডের নারী ভেটেরান সিনেটর জোনি আর্নস্ট হেগসেথের একটি অতীত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেন। অতীতে হেগসেথ নারীদের যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
আর্নস্ট বলেন, ‘আমি কুয়েত এবং ইরাকে মিশনে অংশ নিয়েছি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি নিশ্চিত করবেন—নারীরা তাদের সামরিক দায়িত্ব পালনের সমান সুযোগ পাবেন।’
হেগসেথ জবাব দেন, ‘নারীরা যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পারবেন, তবে তা উচ্চমানের যুদ্ধ মানদণ্ড বজায় রেখেই।’
এই বক্তব্যে হেগসেথ নারীদের ভূমিকার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন, যদিও তার অতীত মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।