অনলাইন ডেস্ক
উজবেকিস্তানের স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ কারাকালপাকস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্থিরতায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৪৩ জন। দেশটির প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সহিংসতার শুরু হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনের ফলে কারাকালপাকস্তান প্রদেশের স্বায়ত্তশাসনের সুবিধা অনেকটাই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই এই প্রস্তাবিত সংশোধন রুখতেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ-আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন-প্রতিবাদ সমাবেশে ভয়াবহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশটির ইতিহাসে বিগত ২০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিক্ষোভ।
স্থানীয় নৃগোষ্ঠী-অধ্যুষিত কারাকালপাকস্তান প্রদেশের লোকদের ভাষা উজবেক ভাষার চেয়ে কাজাখ ভাষার বেশি নিকটবর্তী। প্রাদেশিক সরকারের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘নুকুসে ১৮ জন লোক নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিবেশে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৫১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেশটির প্রেসিডেন্ট শভকাত মির্জিয়েয়েভের সামনে একটি শক্ত চ্যালেঞ্জ হাজির করেছে। এর আগে শভকাত ২০১৬ সালে তাঁর উত্তরসূরি এবং রাজনৈতিক গুরু ইসলাম কাদিরভের মৃত্যুর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।
এর আগে, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কারাকালপাকস্তানের স্বায়ত্তশাসন রদ করে প্রদেশটির স্বাধীন হওয়ার অধিকার বাতিলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গত শনিবার আন্দোলনকারীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেই পরিকল্পনা বাদ দেন। তারও আগে, আন্দোলন রুখতে ওই প্রদেশে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।