অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তানের খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে এরই মধ্যে ১০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৫০০ জনেরও অনেক বেশি। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছেন অনেকেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বা বিদেশি সহায়তা কোনোটাই নেই। তাই উদ্ধারকারীরা বাধ্য হয়ে খালি হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কসহ সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আফগান সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠাতে পারছেন না। ফলে, উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে যাওয়াদের উদ্ধারে স্থানীয়রা হাত দিয়েই কাজ চালাচ্ছেন।
তালেবান সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র মোহাম্মদ ইসমাইল মুয়াবিয়া বলেছেন, ‘আমি দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে পারছি না। সেখানকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। আমরা সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এদিকে, ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় উপকরণ–সরঞ্জাম না পাওয়ায় খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে যাওয়া মানুষদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে নিহতদের দাফন করতে চলছে কবরের পর কবর খোঁড়া। দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তার আহ্বান জানালেও এখনো সাড়া মেলেনি সেভাবে।
অপরদিকে, ভূমিকম্পের পর বন্যায়ও ৪০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। দেশটির যেসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হলো—নানগারহার, কুনার, নূরিস্তান, লাঘমান, পাঞ্জশীর, পারওয়ান, কাবুল, কাপসিয়া, মাইদান, ওয়ারদাক, বামিয়ান, গজনি, লাগোর, সামাঙ্গান, সার–ই–পুল, তাখার, পাকতিয়া, খোস্ত, দাইকুন্দিসহ সালাঙ এলাকা। বিগত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলেই এই বন্যা দেখা দিয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর মতে, বন্যার ফলে ওই সব এলাকার মানুষের ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।