অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপটি সমুদ্র সৈকতের জন্য বিশ্বখ্যাত। দ্বীপটির জিডিপির অন্তত ৫০ শতাংশ আয়ের উৎস পর্যটন খাত। তবে করোনার লকডাউনে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেলে এ শিল্পে নিয়োজিত কর্মীরা গ্রামে ফিরে যায়।
গ্রামের এসব লোকদের সহায়তার উদ্যোগ নেন বালির একটি রেস্তোরাঁ মালিক ম্যাড জানুর ইয়াসা। এর মাঝেই তিনি দেখতে পান, গ্রামে মানুষ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্লাস্টিকের বদলে স্থানীয় বানজার গোষ্ঠীর প্রধান খাদ্য চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রথমে নিজের গ্রামে প্লাস্টিকের বদলে চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন ইয়াসা। ২০২০ সালের মে মাসে শুরু করা এ কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পান। পরে কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বাড়িয়ে দেন। বালি ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্টে মাত্র দুই ঘণ্টায় সাবা গ্রামে ২ টন প্লাস্টিক বিনিময় হয়। এ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার ২০০ টিরও বেশি গ্রামে ৫০০ টন প্লাস্টিকের বিনিময়ে ৫৫০ টন চাল বিতরণ করেছে আয়োজকেরা।
ইয়াসা জানান, তাঁদের কাছে জমা পড়া প্লাস্টিকের মধ্যে বেশির ভাগই বোতল ও একবার ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। বালিতে প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো আরেকটি বড় দ্বীপ জাভায় পাঠানো হবে। যা রিসাইকেল করা হবে একটি 'দুর্দান্ত কাজ'। এ ছাড়া স্থানীয়দের কাছ থেকে চাল কেনায় কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে বালির প্লাস্টিক দূষণ অনেক কমে এসেছে। একই সঙ্গে অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে ক্ষুধার সংকট।