অনলাইন ডেস্ক
জাপানের কিম তানাকা নামের এক নারী ১১৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। গত ১৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জাপানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ফুকুওকায় জন্মেছিলেন। তানাকা একটি নার্সিং হোমে থাকতেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে সুস্থ ছিলেন। তিনি বোর্ড গেমস খেলতে, গণিতের সমস্যা সমাধান করতে, সোডা ও চকলেট খেতে পছন্দ করতেন।
কর্মজীবনে তানাকা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। তাঁর একটি নুডলের দোকান এবং একটি রাইস কেকের দোকান ছিল। এক শতাব্দী আগে ১৯২২ সালে তিনি হিদিও তানাকাকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের ঘরে ছিল চারটি সন্তান। এ ছাড়া পঞ্চম সন্তানটিকে তাঁরা দত্তক নিয়েছিলেন।
গত বছর টোকিও অলিম্পিকের টর্চ রিলেতে হুইলচেয়ারের মাধ্যমে তিনি অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে তাঁর মনের ইচ্ছাটি পূরণ হয়নি।
২০১৯ সালে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস যখন যখন তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—‘আপনি জীবনের কোন মুহূর্তে সবচেয়ে সুখী ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন—‘এখন’।
প্রতিদিন ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠতেন তানাকা। বিকেলের দিকে গণিতের জটিল জটিল সমস্যার সমাধান করতেন এবং ক্যালিগ্রাফি চর্চা করতেন।
স্থানীয় গভর্নর সেতারো হাত্তোরি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমি এ বছরের বৃদ্ধ দিবসে (সেপ্টেম্বরে একটি জাতীয় ছুটির দিন) তাঁর প্রিয় সোডা ও চকলেট নিয়ে তানাকার সঙ্গে দেখা করার জন্য উগদ্রীব ছিলাম। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জাপানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জনসংখ্যা রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি।