অনলাইন ডেস্ক
কর্মীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক সুস্বাস্থ্যের দিক থেকে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে জাপান তলানিতে স্থান পেয়েছে। এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে স্থান পেয়েছে তুরস্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাককিনসে হেলথ ইনস্টিটিউট দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এমনটি উঠে এসেছে। খবর এনডিটিভির।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের ৩০টি দেশের ৩০ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের জরিপে ২৫ শতাংশ স্কোর পেয়ে সবার তলানিতে স্থান পায় দ্বীপ দেশ জাপান। ৭৮ শতাংশ স্কোর নিয়ে সবার ওপরে স্থান পেয়েছে তুরস্ক। এরপরেই ৭৬ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত এবং ৭৫ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় চীন। বিশ্বব্যাপী গড় স্কোর ছিল ৫৭ শতাংশ।
যদিও জাপানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আজীবন কর্মসংস্থান এবং চাকরির নিরাপত্তা প্রদানের জন্য খ্যাতি তৈরি করেছে, তবে একই কারণে চাকরি পরিবর্তন করাও জাপানে বেশ কঠিন।
আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের বিষয়ে বিভিন্ন কোম্পানির পরামর্শক রোচেল কপের মতে, আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জাপান ধারাবাহিকভাবে কম রেটিং পেয়ে আসছে এবং ফলাফলগুলো জাপানের কর্ম পরিবেশের প্রতিফলন।
এমএস অ্যান্ড এডি ইন্স্যুরেন্স গ্রুপ হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেডের বোর্ড সদস্য কপ আরও বলেন, ‘জাপানের কর্মীদের নিজেকে কম রেটিং দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এসব আমাদের নথিভুক্ত। জাপানে কর্মক্ষেত্রে সন্তুষ্টির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত চাপসহ নানা সমস্যা রয়েছে।’
ম্যাককিনসির জরিপ অনুসারে, যে সমস্ত কর্মচারীদের ইতিবাচক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও ইতিবাচক রিপোর্ট করেছে। তাঁরা কর্মক্ষেত্রেও আরও উদ্ভাবনী এবং উচ্চ কর্মক্ষমতা দেখিয়েছে।
প্রতিবেদনের লেখক লিখেছেন, ‘অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন জাগ্রত সময়ের বেশির ভাগই কাজে ব্যয় করেন। এটি নিয়োগকারীদের কর্মীদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করার সুযোগ দেয়।’