অনলাইন ডেস্ক
ভারতের সংবিধান দিবসের (২৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আচরণের সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, রাহুল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিবাদন না জানিয়ে অসম্মান করেছেন ও জাতীয় সংগীত চলাকালীন অমনোযোগী ছিলেন। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ওই অনুষ্ঠানের দুটি ভিডিও শেয়ার করেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হচ্ছিল, তখন রাহুল গান্ধী এপাশ-ওপাশ তাকাচ্ছিলেন।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, যখন রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য নেতারা দাঁড়িয়ে ছিলেন, রাহুল গান্ধী বসার চেষ্টা করছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে অভিবাদন না জানিয়ে তিনি মঞ্চ ত্যাগ করছেন।
মালব্য বলেন, ‘রাহুল নিজে ৫০সেকেন্ড মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না অথচ তিনি জো বাইডেনকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন ‘জো বাইডেনের মতো নরেন্দ্র মোদিরও স্মৃতিশক্তি কমে গেছে।’
মালব্য আরও বলেন, ‘জাতীয় সংগীত শেষ হওয়ার পর, রাহুল গান্ধী মঞ্চ ত্যাগ করতে চাচ্ছিলেন। অথচ অন্য নেতারা তখন একে একে রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।’
আরেকটি ভিডিও শেয়ার করে মালব্য বলেন, ‘আদিবাসী নারী হয়ে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে আসীন হওয়ায় কংগ্রেস সব সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করেছে। কারণ রাহুল গান্ধী ও তাঁর পরিবার এদেশের দলিত, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর আদিবাসীকে ঘৃণা করে। রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান তারই প্রতিফলন।’
সংবিধান দিবসে রাহুল গান্ধীর এমন আচরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির আদিবাসী পরিচয়ের কারণে রাহুল গান্ধী এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। অনেকে একে রাহুলের ঔদ্ধত্য বলে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে পরাজয়ের পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এমন ব্যবহার করেছেন।
তবে রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের কোনো নেতা বিজেপির এই অভিযোগে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।