অনলাইন ডেস্ক
গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অঞ্চলটি পরিচালনা করবে ফিলিস্তিনিরা। এ ক্ষেত্রে যৌথ ফিলিস্তিনি শাসন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা ওসমান হামাদান। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওসমান হামাদান বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের এবং...দিনটি ফিলিস্তিনিদের দিন।’ তিনি বলেন, গাজায় ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির পরও হামাসের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার উচ্চ সক্ষমতা আমাদের আছে।’
এর আগে, গত মে মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। এতে তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা ‘অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে।’
এই পরিকল্পনায় গাজায় একটি বন্দর, সৌরশক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানা এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। যেদিন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় জয়লাভ করবে, তার পরদিন থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট তিনটি ধাপে এসব বিষয় বাস্তবায়ন করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় সেই পরিকল্পনায়।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।’
অন্যদিকে লন্ডনভিত্তিক থিংকট্যাংক চ্যাথাম হাউসের এক আলোচনা সভায় সৌদি আরবের গোয়েন্দাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, ‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গেই নয়, বাকি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেও ইসরায়েলের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
সৌদি আরবের এই কূটনীতিক আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি আরবের কাছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রাথমিক শর্ত, কিন্তু...ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেশটির পুরো সরকার বলছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলতে কিছু নেই।’ এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে।