অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা হাশ মানি মামলার দণ্ডাদেশ দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার মামলার বিচারক হুয়ান মেরচান জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর এই মামলার দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যেসব কারণ দেখিয়ে বিচারক হুয়ান মেরচান ট্রাম্পের এই হাশ মানি মামলার দণ্ডাদেশ পিছিয়ে দিয়েছেন তার মধ্যে একটি হলো, এই মামলার বিষয়টি এক অনন্য সময়সীমার মধ্যে আছে।
এদিকে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই হাশ মানি মামলার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের আইনজীবীরা সেই রায়ের দিনটি বিলম্বিত করার জন্য বেশ কিছু আইনি কৌশল ব্যবহার করেছেন, যার ধারাবাহিকতায় রায়ের এই তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, সাবেক পর্ন স্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করতে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ শুনানির পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সবগুলো অভিযোগেই দোষী ঘোষণা করেন ১২ সদস্যবিশিষ্ট জুরি। রায় ঘোষণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং বিচারকদের দিকে তিনি হতাশ তাকিয়ে ছিলেন।
পরে বিচারক হুয়ান মেরচান ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেন। এমন সময়ে সাজা ঘোষণা হবে, যার কয়েক দিন পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ঘোষণা করার কথা। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান বাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
ব্যবসায়িক নথিপত্র জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে চার বছরের কারাদণ্ড। তবে কখনো কখনো বিচারক চাইলে এর চেয়েও কম মেয়াদে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড দিতে পারেন। তবে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বা বিজয়ী হলে দায়িত্ব গ্রহণের পথে আইনগত বাধা হবে না। আর সাজা ঘোষণার আগে তাঁকে কারাগারেও যেতে হবে না।