হোম > ইসলাম

নবীজির রওজা জিয়ারতে আদব

ইশমাম আহমেদ

মহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—

১. জিয়ারতকারী পবিত্র শরীরে পবিত্র কাপড় পরিধান করে যাবে।
২. জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকেই বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে থাকবে। সে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে যেন জিয়ারতের মাধ্যমে সে উপকৃত হয়।
৩. রওজায় প্রবেশের আগেই মন থেকে জাগতিক সব চিন্তাভাবনা দূর করে দেবে এবং তাঁর ভালোবাসায় অন্তর পূর্ণ করে নেবে।
৪. নবী (সা.)-এর প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে রওজায় প্রবেশ করবে।
৫. সেখানে এমন কোনো আচরণ যেন প্রকাশ না পায়, যা নবী (সা.)-এর মর্যাদা পরিপন্থী।
৬. নবী (সা.)-কে অনুচ্চ আওয়াজে সালাম দেবে। কোনোভাবেই আওয়াজ উঁচু করবে না।
৭. রওজার দিকে ফিরে দাঁড়াবে, তবে সামান্য দূরত্ব বজায় রাখবে।
৮. অন্তরকে মহানবী (সা.)-এর চিন্তা ও ভালোবাসায় বিভোর করবে।
৯. যে কক্ষে নবী (সা.) শুয়ে আছেন, সেটি এবং তার মিম্বর ইত্যাদি স্পর্শ করা, তাতে চুমু খাওয়া ও তাওয়াফ করা থেকে বিরত থাকবে।
১০. আল্লাহর কাছে যেভাবে কোনো কিছু চাওয়া হয়, সেভাবে নবী (সা.)-এর কাছে চাইবে না। কোনো চাওয়ার থাকলে মহান আল্লাহর কাছেই চাইবে। দোয়া             করার সময় কিবলামুখী হয়ে দোয়া করবে।
১১. রওজা শরিফে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা, সেখানে ভিড় করে থাকা এবং ধাক্কাধাক্কি করা নবী (সা.)-এর মর্যাদা পরিপন্থী। যতক্ষণ অবস্থান করবে প্রশান্তির সঙ্গে       অবস্থান করবে।
১২. ফেরার সময়ও দরুদ পাঠ করতে থাকবে।
১৩. সম্ভব হলে রিয়াজুল জান্নাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। 

সূত্র: আল-ইজাহ ফি মানাসিকিল হাজ্জি ওয়াল ওমরাহ, পৃ. ৪৪৬-৪৫০। 

ইমানি শক্তি বাড়ে যে ৩ আমলে

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

সেকশন