হোম > ইসলাম

হজ-পরবর্তী জীবন যেমন হওয়া চাই

মুফতি আবু দারদা ইসলামবিষয়ক গবেষক

হজ মুমিনের জীবনে একবারই ফরজ হয়। তাও কেবল দৈহিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকার শর্তে। ফলে যাঁরা হজ পালনের সুযোগ পান, তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ভাগ্যবান। হজ হাজিদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনে। আল্লাহর প্রেমে সিক্ত হয়ে গুনাহমুক্ত জীবন গড়ার শপথ নেন তাঁরা। অবশ্য হজের এই ফজিলত ও পুরস্কার হাজির তাকওয়া, সদিচ্ছা ও নিষ্ঠার ওপরই নির্ভর করে। হজ-পরবর্তী জীবনে তাঁর কার্যকলাপ বলে দেবে তাঁর হজ কতটুকু ফলপ্রসূ। 

এ কথা সত্য যে হজ মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। হাজিকে আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত করে। হজ মুমিন বান্দাকে মুত্তাকি ও নিষ্ঠাবান হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়। দুনিয়ার ভোগবিলাস থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দেয়। তাই হজ থেকে ফিরেও ভালো কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। 

হজ থেকে ফিরে বান্দার প্রথম কাজ হলো, দৈনন্দিন জীবনের ফরজগুলো আবশ্যিকভাবে পালন করা, সব গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং মানুষের হক যথাযথভাবে আদায় করা। অতীতে পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে কোনো গুনাহের কাজে জড়িত থাকলে তা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। এ ক্ষেত্রে তাঁকে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করতে হবে এবং কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হবে। 

নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত করা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা, প্রতিদিনের সুন্নত-মুস্তাহাবগুলো যথাযথভাবে পালন করা, বেশি বেশি নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ে তোলা ইত্যাদি কাজ গুনাহমুক্ত জীবনের পক্ষে দারুণ সহায়ক। বিশেষ করে রাতের শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। তবে এসব করতে গিয়ে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করা যাবে না। পরিবারসহ সবার হক যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

মুমিনের চমৎকার ৪ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

সেকশন