হোম > ইসলাম

যে ৪ সময়ে আউজুবিল্লাহ পড়া উচিত

মুফতি আইয়ুব নাদীম শিক্ষক ও মুহাদ্দিস

প্রতিটি ভালো কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সুন্নত। আউজুবিল্লাহ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। ‘আউজুবিল্লাহ’ অর্থ আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। এর পূর্ণ বাক্য ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এর অর্থ হলো, আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। আউজুবিল্লাহ পাঠের কয়েকটি সময় রয়েছে।

এক. কোরআন তিলাওয়াতের শুরুতে: কোরআন তিলাওয়াতের শুরুতে আউজুবিল্লাহ পাঠ করা সুন্নত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তুমি কোরআন তিলাওয়াত করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।’ (সুরা নাহল: ৯৮)

দুই. শয়তান কুমন্ত্রণা দিলে: আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আরাফ: ২০০)

তিন. রাগ পেয়ে বসলে: সুলায়মান ইবনে সুরাদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন দুই লোক গালিগালাজ করছিল। তাদের একজনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি এমন একটি দোয়া জানি, এই লোকটি তা পড়লে তার রাগ দূর হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’ তাহলে তার রাগ চলে যাবে।’ (বুখারি: ৩২৮)

চার. মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময়: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন নবীর ওপর দরুদ পড়ে, এরপর বলে হে আল্লাহ, আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। আর বের হওয়ার সময় যেন নবীর ওপর দরুদ পড়ে, এরপর বলে, হে আল্লাহ, আপনি আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে রক্ষা করুন।’ (ইবনে মাজাহ: ৭৭৩)

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

সেকশন