হোম > ইসলাম

রাতে ঘুমানোর আগে ৪ আমল

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মুমিনের প্রতিটি কাজকর্ম ইবাদত, যদি তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়। সারা দিন পরিশ্রান্ত থাকার পর মানুষ যখন রাতে ঘুমাতে যায়, তখন কিছু দোয়া পড়তে হয়। যেন ঘুমটিও ইবাদতে পরিণত হয়। দোয়াগুলোর ফজিলত অনেক বেশি। এসব দোয়া বান্দার মর্যাদা আরও বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় এবং আল্লাহর নৈকট্য দান করে।

এক. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করা, যা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি)।

দুই. ঘুমানোর আগে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তথা ২৮৫-২৮৬ নম্বর পাঠ করলে অনেক কল্যাণ সাধিত হয়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুইটি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার জন্য তা (সব সমস্যার সমাধানে) যথেষ্ট হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

তিন. একইভাবে ঘুমানোর সময় সুরা মুলক পাঠ করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। হজরত জাবির (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা মুলক না পড়ে ঘুমাতেন না।’ (মিশকাত)

চার. সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবর পড়াও সুন্নত। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আমি কি তোমাদের উত্তম জিনিসের সন্ধান দিব না? যখন তোমরা বিছানায় যাবে, তখন ৩৪ বার “আল্লাহু আকবর”, ৩৩ বার “আলহামদুলিল্লাহ” এবং ৩৩ বার “সুবহানাল্লাহ” বলবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম প্রতিদান।’ (বুখারি)

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সেকশন