হোম > ইসলাম

ক্ষমতার অপব্যবহারকারীকে নবীজির হুঁশিয়ারি

মুফতি আবু দারদা ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহ তাআলাই দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তবে তিনি পৃথিবীতে যাকে যেভাবে চান, কিছু ক্ষমতার মালিক বানান। মহান আল্লাহর নির্দেশমতো ইনসাফের সঙ্গে ক্ষমতার সদ্ব্যবহার তাঁর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার জুলুমের শামিল।

মহান আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না। পরকালে তাদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করা এবং মানুষের আমানত তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দেন আমানত তার হকদারকে প্রত্যর্পণ করতে।’ (সুরা নিসা: ৫৮)

সব মানুষের কিছু ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ থাকে। সে ক্ষেত্রে নিজের প্রতি আরোপিত দায়িত্ব পালন করে ক্ষমতার সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বা প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে স্বার্থ হাসিল করা ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল। এভাবে কারও ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা বা পদ-পদবি ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় জুলুম।

আবু হুমাইদ আস-সাঈদি (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আস্দ গোত্রের ইবনে লাতবিয়া নামক এক ব্যক্তিকে জাকাত উশুলের জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করে কোথাও পাঠালেন। তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বললেন, ‘এগুলো আপনাদের, অর্থাৎ রাষ্ট্রের আর এগুলো আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছে।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) মিম্বারে দাঁড়ালেন। আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, ‘সে কর্মচারীর কী হলো, যাকে আমি দায়িত্ব দিয়ে পাঠালাম? আর সে বলে, এগুলো আপনাদের এবং এগুলো আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে? সে তার মা-বাবার ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে উপহার দেওয়া হয় কি না?’ (বুখারি: ২৪৫৭; মুসলিম: ৪৮৪৩)

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

সেকশন