হোম > ইসলাম

জালিমকে সহযোগিতা করাও জুলুম

হুসাইন আহমদ

ফাইল ছবি

ইসলামে জুলুমের স্থান নেই। কেননা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ইসলামের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮)

জালিমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যে আল্লাহ তাআলা গাফেল নন, প্রতিটি জুলুমের শাস্তি আখেরাতে যে ভোগ করতে হবে, তা তিনি স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আর জালিমেরা যা করছে, আল্লাহকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে কোরো না, আল্লাহ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন ওই দিন পর্যন্ত, যেদিন চোখ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। তারা মাথা তুলে দৌড়াতে থাকবে, তাদের দৃষ্টি নিজেদের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূন্য।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪২-৪৩)

জালিমেরা মনে করে, মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন করে তারা তাদের ক্ষমতায় অটল-অবিচল থাকবে, টিকে থাকবে ও সফল হবে। অথচ তারা জানে না, অন্যের ওপর জুলুম-অত্যাচার করে কখনো সফল হওয়া যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, জালিমেরা কখনো সফলকাম হয় না।’ (সুরা আনআম: ৫৭)

জালিমের জুলুম সমর্থন করাও গুনাহের কাজ। তাই কেউ নিজে জুলুম না করেও যদি জুলুম সমর্থন করে, জুলুমের পক্ষে বলে বা লেখে, সেও আল্লাহর দরবারে জালিম বিবেচিত হবে এবং তার হাশর জালিমের সঙ্গেই হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা জুলুম করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুঁকে পোড়ো না; অন্যথায় আগুন তোমাদের স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোনো অভিভাবক থাকবে না। তারপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।’ (সুরা হুদ: ১১৩)

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

মুমিনের চমৎকার ৪ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

মেহমানকে সম্মানিত করার গুরুত্ব ও সওয়াব

সেকশন