হোম > ইসলাম

অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল

ইসলাম ডেস্ক

বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার অপার নিয়ামত। তবে অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা, ভূমিধস, পাহাড়ধস, ভাঙনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। তাই অতি বৃষ্টি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া উচিত।

আনাস (রা.) বলেন, একবার জুমার দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। এক সাহাবি মসজিদে ঢুকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, (অনাবৃষ্টির কারণে) জীবজন্তু মরে গেছে। পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের জন্য বৃষ্টির দোয়া করুন।’

তখন রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করতে শুরু করেন, ‘আল্লাহুম্মাসকিনা, আল্লাহুম্মাসকিনা, আল্লাহুম্মাসকিনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ 

আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! তখন আকাশে বিন্দুমাত্র মেঘের ছোঁয়াও ছিল না, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দোয়ার পর আকাশে মেঘের উদয় হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হয়।

আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহর কসম! পরের ছয় দিন আমরা সূর্য দেখিনি। পরের জুমায় ফের ওই ব্যক্তি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তি আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ধনসম্পদ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানিতে পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার দোয়া করুন।

তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই হাত উঁচিয়ে দোয়া করলেন, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ; ওয়া মানাবিতিস শাজার।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ, পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোয় বৃষ্টি দিন।’

বর্ণনাকারী বলেন, ‘তখনই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়, এরপর আমরা নামাজ শেষে রোদের মধ্যে বের হই।’ (বুখারি: ১০১৩)

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

কবরে যে ২ গুনাহের শাস্তি দেওয়া হবে

মুমিনের চমৎকার ৪ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

সেকশন