হোম > ইসলাম

আল্লাহর প্রিয় ১২ আমল

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

একনিষ্ঠভাবে করা প্রতিটি ভালো কাজ আল্লাহর কাছে প্রিয়। তবে হাদিস শরিফে নির্দিষ্টভাবে কিছু আমলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, সেগুলো আল্লাহর অধিক প্রিয়। নিচে এ ধরনের কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো—
 
»    আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। 
»    তাঁর পথে লড়াই করা। 
»    যথাযথ নিয়মে হজ আদায় করা।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন আমল সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ইমান আনা।’ প্রশ্নকারী বললেন, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা।’ প্রশ্নকারী বললেন, ‘এরপর কোন আমল?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘যথাযথভাবে আদায়কৃত হজ।’ (মুসলিম) 
»    সময়মতো নামাজ আদায় করা। 
»     মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কোনটি আল্লাহর অধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, ‘সময়মতো নামাজ পড়া।’ বললাম, ‘এরপর কোন আমল?’ তিনি বললেন, ‘মা-বাবার সঙ্গে সদাচার করা।’ (মুসলিম)

  • সব ফরজ ইবাদত। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বান্দা যেসব আমলের মাধ্যমে আমার নৈকট্য অর্জন করে, তার মধ্যে ফরজ আমলসমূহ আমার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয়।’ (বুখারি)
  • নিয়মিত আমল করা। এক দিন বেশি করে নফল ইবাদত করার পর কিছুদিন একেবারেই না করার চেয়ে অল্প অল্প প্রতিদিন করতে থাকা আল্লাহর কাছে প্রিয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় আমল হচ্ছে যা নিয়মিত করা হয়, যদিও পরিমাণে অল্প হোক।’ (বুখারি)
  • বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা। মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, ‘মৃত্যু পর্যন্ত তোমার জিহ্বা আল্লাহর জিকিরের কারণে সতেজ থাকা।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান) অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে উত্তম আমলটির ব্যাপারে বলব না, যা তোমাদের প্রভুর কাছে অধিক পবিত্র, অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, স্বর্ণ-রৌপ্য দান করার চেয়ে উত্তম, শত্রুর মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে হত্যা করা ও নিহত হওয়ার চেয়ে উত্তম?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুন।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তা হচ্ছে, আল্লাহর জিকির।’ (তিরমিজি)
  • অন্যের উপকার করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরোপকারী লোকেরা আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয়। আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হচ্ছে, মুসলমান ভাইয়ের মনে আনন্দ দেওয়া, তার কষ্ট লাঘব করা, ঋণ পরিশোধে সহায়তা করা এবং ক্ষুধা নিবারণ করা।’ (তাবরানি)
  • খাবার খাওয়ানো।
  • পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামের কোন আমল সর্বোত্তম?’ তিনি বললেন, ‘খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি ও মুসলিম)
  • মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আবু মুসা (রা.) বলেন, সাহাবিগণ রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, ‘ইসলামের কোন বিষয়টি সর্বোত্তম?’ রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘যার কথা ও কাজকর্ম থেকে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকে।’ (বুখারি ও মুসলিম) 

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজের ইমামতি করতে যে যোগ্যতা দরকার

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সেকশন