হোম > ইসলাম

জান্নাতে নবীজির সান্নিধ্য পাবেন যাঁরা

আমজাদ ইউনুস 

জান্নাতে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করা মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্য। সব মুমিনের হৃদয়েই জান্নাত লাভের আগ্রহ এবং জান্নাতে নবীজির সঙ্গে বসবাসের স্বপ্ন থাকে। সাহাবিরা জান্নাতে তাঁর সান্নিধ্য লাভের গভীর আগ্রহ লালন করতেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় সরাসরি তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেন।

মাঝেমধ্যে নবী (সা.) নিজে থেকেই জান্নাতে তাঁর সাহচর্য লাভের উপায় বলে দিতেন। হাদিসের আলোকে এখানে এমন ৪টি আমল তুলে ধরা হলো।

এক. নবীজির প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী: আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, এক যাযাবর রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করল, ‘কিয়ামত কখন হবে?’ রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ‘তুমি কিয়ামতের জন্য কী পাথেয় প্রস্তুত করেছ?’ সে বলল, ‘আমি বেশি কিছু প্রস্তুত করতে পারিনি। তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ভালোবাসা আছে।’ তিনি বললেন, ‘তুমি তাঁরই সান্নিধ্য পাবে, যাঁকে তুমি ভালোবাসো।’ (সহিহ মুসলিম)

দুই. উত্তম আচরণের অধিকারী: জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ সর্বোত্তম, সে-ই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় এবং কিয়ামত দিবসেও সে আমার খুবই কাছে থাকবে।’ (সুনানে তিরমিজি) 

তিন. এতিম লালনপালনকারী: সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি ও এতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে কাছাকাছি থাকব।’ এই বলে তিনি শাহাদাত ও মধ্যমা আঙুল দেখালেন এবং এই দুটির মাঝে কিঞ্চিত ফাঁক রাখলেন। (সহিহ বুখারি) 

চার. কন্যা লালনপালনকারী: আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি মেয়ে সন্তানকে সাবালক হওয়া পর্যন্ত প্রতিপালন করে, কিয়ামতের দিনে সে ও আমি এমন পাশাপাশি অবস্থায় থাকব।’ এই বলে তিনি তাঁর হাতের আঙুলগুলো মিলিয়ে দিলেন। (সহিহ মুসলিম)

কোরআনে ইসলাম প্রচারকের অপরিহার্য ৫ গুণ

জানাজা ও কাফনদাফনে অংশ নেওয়ার সওয়াব

হালাল-হারাম নিয়ে সংশয় থাকলে করণীয়

আসরের নামাজ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

কোরআন জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক এখনই

মুসলিম ঐতিহ্যে টুপির গুরুত্ব

ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষিদ্ধ ৮ কাজ

নামাজে সতর ঢাকা সম্পর্কে সতর্কতা

সীমান্ত পাহারা দেওয়া শ্রেষ্ঠতম ইবাদত

সেকশন