অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ বিষয়ে ঘোষিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি এখনো বহাল আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বেদান্ত প্যাটেল।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাধাদান ও কারচুপিতে জড়িতদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি আরোপ সম্পর্কে জানতে চান এক সাংবাদিক। তিনি জিজ্ঞেস করেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক নির্বাচন দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি এমন উদ্বেগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করেছে তাদের ওপর থ্রিসি ভিসানীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের অবস্থা কি আমি জানতে পারি?
জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘ভিসানীতির ক্ষেত্রে আমার নতুন কোনো তথ্য নেই। আমাদের নীতি নির্বাচন শেষ হলেই উবে যায় না। আমার কাছে হালনাগাদ কোনো তথ্য নেই।’
প্রশ্নকারী সাংবাদিক বলেন, অর্থাৎ নীতিটি এখনো বহাল?
উত্তরে প্যাটেল বলেন, হ্যাঁ। নীতির কোনো পরিবর্তন নেই।
এরপর প্রশ্নকারী ড. ইউনূস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে বাংলাদেশ সরকার। আদালতের আরেকটি আদেশে তাঁর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ১২৫ জন নোবেল বিজয়ীসহ ২৪৩ বিশ্বনেতাদের একটি জোট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন সিনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন দ্বিদলীয় মার্কিন সিনেটর ইউনূসকে সব ধরনের হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কীভাবে দেখছে?
এ সময় প্যাটেল বলেন, ‘দেখুন, আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ড. ইউনূসকে ভয় দেখানোর জন্য এই মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের হতে পারে। আপিল প্রক্রিয়ায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ডক্টর ইউনূসের জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আহ্বান জানাই।’