হোম > জাতীয়

জাল টাকার মামলায় কর্নেল শহীদ ও তাঁর স্ত্রীর দশ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাল টাকা দখলে রাখার দায়ে কর্নেল (বরখাস্ত) শহীদ উদ্দিন খান ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এই রায় দেন।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য দুই আসামি সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার খোরশেদ আলম পাটোয়ারী ও সার্জেন্ট সৈয়দ আকিদুল আলীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এই দুজনকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় তাঁরা মুক্তি পাবেন না। একই সঙ্গে পলাতক আসামি শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী ফারজানার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালত রায়ে বলেছেন, দুই আসামি শহীদ উদ্দিন খান ও স্ত্রী ফারজানা আঞ্জুম খানের দখল থেকে জাল টাকা উদ্ধারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা দেশের কোনো আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে।

২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শহীদ উদ্দিন খানের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল, ছয়টি গুলি, দুটি শটগান, ৫০টি বিস্ফোরক দ্রব্য ও ৩ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে আল কায়েদার জেহাদি বই ও জঙ্গি সম্পৃক্ততায় যুক্ত থাকার কয়েকটি বই উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সংবাদ পেয়ে শহীদ উদ্দিন খান ও তার স্ত্রী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় খোরশেদ আলম পাটোয়ারী ও সৈয়দ আকিদুলকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কিশোর শীল বাদী হয়ে শহীদ উদ্দিন খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। একই দিনে অস্ত্র আইনেও একটি মামলা হয়।

পরে মামলার তদন্ত শেষে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা নৃপেন কুমার ভৌমিক ২১ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। 
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযুক্ত পাঁচজনের একজন মারা গেছেন।

এর আগে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল অস্ত্র মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে শহীদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় আরও একটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ওই মামলায়ও ঢাকার একটি বিশেষ জজ ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন তাঁকে। ভূমি জালিয়াতির একটি মামলায়ও তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি আইনজীবী কবির আহমেদ রুমি।

রাজধানীর অপরাধজগতে নেতা-সন্ত্রাসীতে আঁতাত

ঢাকাকে ভারতের চোখে দেখার সম্ভাবনা কম

নবীন উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পাকিস্তান সফর, প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সরানো হলো পরিচালক মনিরুজ্জামানকে

গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী: জরিপ

পাঁচ মাসে মাজার-দরগায় ৪৪ হামলা: প্রেস উইং

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হুমায়ুনের

সেকশন