নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভুটানের পাসাখা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরও পরিদর্শন করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংয়ের গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তাঁরা পাসাখা স্থলবন্দর পরিদর্শনে যান। তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটান ও নেপালের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের বাইরে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পৃথক বলয় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের সমন্বয়ে সার্কের বাইরে পৃথক বলয় গড়ে উঠলে ওই দেশগুলোর মধ্যে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের স্থল রুটগুলোর বিদ্যমান সুবিধাদি, সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সরেজমিন পরিদর্শন করার লক্ষ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান। তিনি আগামীকাল শনিবার নেপালের সীমান্ত কাকরভিটায় যাবেন।