নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুদকের মধ্যে ‘আমলাতন্ত্র’ ও ‘রাজনৈতিক’ প্রভাব বেশি কাজ করে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান মো. ইফতেখারুজ্জামান। এই কমিশন গঠনের পর এর প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আজকে প্রথম সভায় আমরা আমাদের দায়িত্ব বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মপরিধি, সেটা বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদেরকে বলা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যকর করার সুপারিশ দেওয়ার জন্য। আমরা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই প্রতিবেদন দেব।’
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের এই প্রধান বলেন, ‘দুদকের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমলাতন্ত্র থেকে প্রেষণে আসে। গবেষণা অনুযায়ী, তাদের হাতে দুদক জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। একদিক থেকে রাজনৈতিক প্রভাব, অন্যদিক থেকে আমলাতান্ত্রিক প্রভাব। এই জিম্মিদশার মধ্যে দুদকের যে অন্য কর্মীরা আছেন, তাঁদের কর্মক্ষমতা বা কর্মদক্ষতা যেমন প্রতিফলিত হয় না; অন্যদিক থেকে দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। পুরো প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন আছে কি না, সেটা আমরা দেখব।’
এ সময় দুদকের কর্মপরিধি নিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের যে এখতিয়ার রয়েছে, তার দুটি আঙ্গিক আছে—একটি প্রতিকার, অন্যটি প্রতিরোধ। দুর্নীতি যারা করে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা, তাদের বিচার করা এবং তাদের জবাবদিহির মধ্যে আনা।