নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যুতের দাম প্রতি মাসেই সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আজ শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ চত্বরে ‘জাতীয় বিজ্ঞান মেলা-২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি প্রতি মাসে কিছু সমন্বয় করব। সেটাই এখন চলছে।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং এবং কৃষিতে সেচের সমস্যা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেচের জন্য অনেক জায়গায় সারা দিন ধরে অনেকে পাম্প চালান। সারা দিন পাম্প চালিয়ে রাখলে সমস্যা হবে। এ কারণে সেচে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরও কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আগামী এপ্রিল থেকে কীভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর গ্যাসের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করা হচ্ছে।’
ভোলার গ্যাস আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কিংবা কমানো, যা-ই করা হোক না কেন, ভোক্তারা তার সুফল পাবে না বলে মত দিয়েছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।
আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে দাম সমন্বয় অগ্রসর অর্থনীতির দেশের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির জন্য নয়। এখানে এলপিজি গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও ভোক্তারা কম দামে এলপিজি পায় না।’
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে অকার্যকর করে দিয়ে সরকার নিজেই যখন-তখন দাম সমন্বয়ের যে প্রক্রিয়া চালু করেছে, তাতে অপচয়, দুর্নীতি ও অমিতব্যয়িতা কার্পেটের নিচে চাপা পড়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের এর পরিণতি বহন করতে হবে।’