নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিয়ে এর পরিবর্তে নতুন গল্প সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি এক চিঠিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) এই নির্দেশনার কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘এই গল্পের পরিবর্তে অন্য আরেকটি গল্প সংযোজন করার জন্য জেন্ডার বিশেষজ্ঞগণের কাছ থেকে মতামত নেওয়া যেতে পারে। গল্পের পরিবর্তে সংশোধিত গল্প সংযোজন করার ব্যবস্থা নিন।’
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। চিঠির আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে আলোচনায় আসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ‘শরীফার গল্প’ নামে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।