কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
আজ সোমবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
মিয়ানমার থেকে মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়া এবং হতাহতের ঘটনাসহ সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে লি জিমিং বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব কথা বলার সময় এ প্রসঙ্গটি তুলেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই বলেও উল্লেখ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকটি প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়। কী কী আলাপ হয়েছে জানতে চাইলে লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাড়াতাড়ি ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসঙ্গেও কথা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনাদের সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে। গোলাগুলির সময় কমপক্ষে চার দফা মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়েছে। মর্টারশেলে একজন নিহত এবং সীমান্তের জিরো লাইনে মাইন বিস্ফোরণে একজনের পা উড়ে গেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত সাতজন।
গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের অবহিত করে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি উন্নয়নে তাঁদের নিজ নিজ দেশের প্রভাব কাজে লাগানোর আহ্বান জানায়।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ আছে। কর্মকর্তা পর্যায়ে বিষয়টি দেখভাল করে থাকেন ঢাকায় চীন ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক।
মিয়ানমারের মুসলিম-প্রধান রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় ১১ লাখ মানুষ সে দেশের সেনাদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছে। তাঁরা কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত আছেন।