কলকাতা সংবাদদাতা
কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া পচে যাওয়া মাংসের টুকরো মানুষের। প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন। ভারতের সিআইডি এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ও ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাংস ও হাড় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। আর সে কারণেই এমপি আজীমের পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সিয়াম জানিয়েছেন, তিনি পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। শাহিনের নির্দেশেই তিনি জিহাদকে কলকাতায় এনে রাজারহাটে ভাড়ার ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন। খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র, প্লাস্টিক টলি, ব্যাগ—সবকিছুই কেনা হয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা থেকে। অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল ও মুস্তাফিজ মাংস কিমা করার মেশিন কিনে এনেছিলেন। আজীমকে খুন করার পর তাঁর মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়, তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয় ওই মেশিনে। ওই মেশিন এখন কোথায় তা জানেন ফয়সাল।
মাংসের টুকরো ও হার উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ নেই সংসদের মাথার খুলি ও খুনে ব্যবহার করা অস্ত্রের। সিয়াম জানিয়েছেন, তাঁরা একটি গাড়ি ভাড়া করে এসে টলি ব্যাগ থেকে হাড় ও মাথার অংশ ব্যাগে তুলে খালের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, টানা তিনবারের এমপি ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। পরে তিনি নিখোঁজ হন।
ঢাকা ও কলকাতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পুলিশকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীমকে ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনসে আক্তারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করেন পেশায় কসাই জিহাদ। পরে হাড় ও মাংসের টুকরাগুলো ফেলা হয় এক জায়গায় এবং মাথা ও খুলি ফেলা হয় অন্য জায়গায়।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন: