নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ পাঁচজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাকি তিনজন হলেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাসিনা গাজী ও ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি।
দুদক থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তাঁর বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে নিজের কারখানা স্থাপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। এ ছাড়া নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী হাসিনা গাজীকে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে দুই বিএনপি কর্মী ও একজন যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় পৃথক তিন মামলায় আসামিও হয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কবির বিন আনোয়ার ১৯৮৫ ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালে অল্প কিছুদিনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অন্যদিক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তাঁর ছেলে সুনাম দেবনাথের দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ—বরগুনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং এলজিইডিসহ ঠিকাদারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টেন্ডারবাজি করে বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন তিনি।
তিন দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন শম্ভু। বরগুনা-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।