সম্পাদকীয়
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রতিটি ব্যক্তিমানুষের সচেতনতা যে খুবই জরুরি, সেটা নিশ্চয়ই আমরা বুঝতে পারছি। মানুষ থেকে মানুষে যেহেতু করোনা ছড়ায়, সেহেতু মানুষকেই সতর্ক হতে হবে, একজনের থেকে অন্যজনকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, হাঁচি–কাশি থেকে সাবধান থাকতে হবে, ঘরে থাকার চেষ্টা করতে হবে, জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। নিজে নিরাপদ থেকে অন্যকেও নিরাপদ থাকতে সহযোগিতা করতে হবে। এসব বিষয়ে এখনও যে উদাসীনতা, খামখেয়ালি চলছে—তা দূর করতে হবে।
করোনার সময় স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা সবার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। অব্যবস্থা, অনিয়ম, সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি সবই আছে স্বাস্থ্য খাতে। চিকিৎসকদের নিয়ে, তাঁদের আচার-ব্যবহার নিয়েও মানুষের সমালোচনা আছে। তবে করোনাকালে এটাও দেখা গেছে, বেশির ভাগ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিজ নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবাদানে এগিয়ে এসেছেন। যাঁরা এই মানবিকতা দেখিয়েছেন, আমরা তাঁদের প্রশংসা করি, অভিনন্দন জানাই।
একই সঙ্গে চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টিও আমরা সামনে আনতে চাই। এপ্রিল মাসের ২৪ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের ১৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এটা দুঃখজনক। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ১৪৬ জন চিকিৎসকের জীবন কেড়ে নিয়েছে করোনা। চিকিৎসকদের এই মৃত্যু রোধের উপায় বের করতে হবে। এই মৃত্যু রোধ করতে না পারলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বড় সংকট দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের মধ্য মৃত্যুভয় ছড়িয়ে পড়লে, তা চিকিৎসা খাতে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার হিসেবেই দেখতে হবে।