হোম > মতামত > সম্পাদকীয়

তরমুজ

সম্পাদকীয়

আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৪: ০৪

চৈত্র ও বৈশাখ মাসে তরমুজের তুলনা নেই। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে তরমুজ দেখা যায়। বোঝা যায়, তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ করে দেখা যাচ্ছে, আমাদের খামারি ও চাষিরা তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সোনালী ফসল যেমন ফলাচ্ছেন, তেমনি মাংস, ফলসহ নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্যের জোগান দিয়ে চলেছেন। তরমুজ সে রকমই একটি ফল, যা শরীর ও মন ঠান্ডা করে।

কারওয়ান বাজার থেকে একটা ভালো তরমুজ কিনতে হলে ৩০ টাকা কেজি দর। কিন্তু একই তরমুজ যদি ঢাকার মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজার থেকে কেনা হয়, তাহলে তার কেজিপ্রতি দাম পড়বে ৪০ টাকা। ১০ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনতে হলে বাজারভেদে ১০০ টাকার পার্থক্য মেনে নিতে হবে। প্রশ্ন একটাই, যিনি তরমুজ ফলাচ্ছেন, তাঁর হাতে আসলে কত টাকা যাচ্ছে। তিনি কি তাঁর আবাদের টাকা উঠিয়ে নিজের জন্য কিছু রাখতে পারছেন? এর উত্তর এক কথায় হয় না।

তরমুজ আসলে বিশুদ্ধ পানির উৎস। করোনারভাইরাসের এই ভয়াবহ সময়ে এই ফলটি কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেলে সত্যি পানির চাহিদা মেটে এবং পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। তরমুজের প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। ফলটি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। তরমুজে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলটির এত বেশি উপকারিতা আছে, যা খেলে ভালো বই খারাপ হবে না। যেকোনো স্বাস্থ্য বুলেটিনে এমনকি উইকিপিডিয়াতেও এর উপকারিতার বিবরণ পাওয়া যাবে।

বৈশাখ মাসের তীব্র দাবদাহের মধ্যে তরমুজ নিয়ে আসতে পারে শীতল তৃপ্তি। কিন্তু ওই যে একটু আগে বললাম, যাঁরা ফলটি ফলাচ্ছেন, তাঁদের হৃদয় অর্থনৈতিকভাবে তৃপ্তি পাচ্ছে কি?

বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব

সহিংসতা হয়নি তা নয়

রিওভাইরাস: সচেতনতা জরুরি

চালের বাজারে অস্থিরতা

সেকশন