হোম > মতামত > সম্পাদকীয়

বিচারের আশায় আর কত অপেক্ষা?

সম্পাদকীয়

আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১: ১৪

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে গিয়ে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। আহত হয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন অনেকে। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিকে হারিয়ে অনেক পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। ভবনের ত্রুটির কারণেই যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তা এখন সবারই জানা। রানা প্লাজা ধসে বিপুল পোশাক শ্রমিকের নিহত ও আহত হওয়ার খবরটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি, আহত-নিহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং পোশাক কারাখানায় কাজের পরিবেশ, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো সামনে এসেছিল। এসব ন্যায়সঙ্গত দাবিদাওয়ার প্রতি সমাজের সব অংশের মানুষের সমর্থন পাওয়া গিয়েছিল।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলেও মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি। যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের স্বজনেরা ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় বছরের পর বছর অপেক্ষা করছেন। তাঁদের অপেক্ষার কবে শেষ হবে, ন্যায়বিচার আদৌ পাওয়া যাবে কি না—সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে নিহত ব্যক্তিদের অনেকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, তাঁরা একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পাননি। কেন এই দীর্ঘসূত্রতা, কেন বিশেষ তহবিল গঠন সত্ত্বেও সবার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি—এসব প্রশ্নের জবাবই বা কে দেবেন?

দায়িত্ববান বা কর্তব্যপরায়ণ না হয়ে আমরা দায় এড়াতে অভ্যস্ত। অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত থাকার এক ক্ষতিকর অভ্যাস আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় অন্তরায়। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট তিনটি মামলা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, আত্মীয়স্বজনের দীর্ঘশ্বাস বাতাস ভারী করবে। আমরা দুর্ঘটনা রোধ করতে পারি না, আবার যাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারাটা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে।

বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব

সহিংসতা হয়নি তা নয়

রিওভাইরাস: সচেতনতা জরুরি

চালের বাজারে অস্থিরতা

সেকশন