সম্পাদকীয়
সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। তিনি জলবায়ুবিষয়ক একটি সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অসামান্য উদারতা দেখানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ যে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তার জন্য বাইডেন প্রশাসন অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করে জন কেরি বলেন, এটা একমাত্র বাংলাদেশের দায়িত্ব নয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গারা আমাদের বন ও নৃতাত্ত্বিক ব্যবস্থা ধ্বংস করছে। আমরা আশাবাদী যে, যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর উদ্যোগ রোহিঙ্গাদের একটি সাধারণ জীবন যাপনের জন্য মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য সহায়তা করতে পারে।
জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৭ থেকে ২০ মার্চ ভাসানচর সফর করার পর তাদের মনোভাব নমনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে। একটি ইতিবাচক প্রতিবেদন তারা জমা দিয়েছে। এখন আশা করা হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরেও জাতিসংঘ যুক্ত হবে। তবে যেটা জরুরি প্রয়োজন, সেটা হলো রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে বাধ্য করা।