নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে যথাসময়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টো সংঘর্ষকে ছড়িয়ে দিতে সরকারের দায়িত্বশীলরা সহযোগিতা করেছেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।
নিউমার্কেটের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে আসলে কোনো সরকার নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ একটা ব্যর্থ সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা এই রাষ্ট্রকেও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের চোখের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়েছে দুই পক্ষের। সেটা বন্ধ করার জন্য তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উপরন্তু তাদের কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন যে তাঁরা কোনো পক্ষই ছিলেন না, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন। নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তাঁরা এই সংঘর্ষকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন। আমরা সবাই জানি, এ ধরনের ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সবচেয়ে বেশি দায়ী থাকে। এই মৃত্যুর জন্য, হত্যার জন্য তারাই দায়ী।’
বিএনপির প্রতি জার্মান রাষ্ট্রদূতের অসন্তোষ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই কথাগুলো উনি সঠিক বলেননি। কারণ আমাদের যিনি বক্তব্য রেখেছিলেন, তিনি কখনোই এ ধরনের কথা বলেননি। সামগ্রিকভাবে যা আলোচনা হয়েছে, তা-ই তিনি বলেছেন।’
‘আমাদের অপরাধটা কী?’ —প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁদের অপরাধ হচ্ছে ভয়ংকর, এই দেশে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এই দেশে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই দেশকে তারা একটা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য ধূলিসাৎ করে দিয়ে আজকে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
সরকারের সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দেশকে পরিচালনা করতে। এটা অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, আজকে আওয়ামী লীগের এই অবৈধ সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দেশ থেকে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং ছাত্রদের যে ন্যূনতম অধিকারগুলো রয়েছে, সেই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম দুর্যোগের দিকে গেছে। ভয়াবহ দুর্নীতির করাল গ্রাসে দেশকে তারা পতিত করেছে। যেকারণে আজকে সমগ্র দেশের মানুষ যে দাবি তুলেছে, এই সরকারের অবিলম্বে, এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন: