নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ঢাকার নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘টানা দুই দিনে সংঘর্ষ বন্ধ করতে না পারায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে যখন জনগণ দায়ী করছে, সে সময় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির নিরপরাধ নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আড়াল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৪ জন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বিএনপি।
সমাবেশে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নিউমার্কেট এলাকায় সহিংস হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। ভিডিও ফুটেজ থেকে অন্তত তিনজনকে চিহ্নিত করা গেছে, যারা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করে সরকার আবারও বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে।
ডা. শাহাদাত আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানত চাঁদাবাজির কারণে এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের ভয়াবহ সন্ত্রাসীরা এই ঘটনার জন্য দায়ী। নিউমার্কেটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই শাসকগোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ সেখানে অপরাধ জগৎ গড়ে তুলেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা প্রমাণ করেছে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে মানুষ যখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে জড়াচ্ছে। আগের মতোই মামলার বেড়াজালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বন্দী করার চক্রান্ত করছে। এই গ্রেপ্তার ও মামলা আবারও প্রমাণ করল আওয়ামী লীগ সরকার ভয় দেখিয়ে, নির্যাতন করে, হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।’