হোম > রাজনীতি

যেসব তথ্য আসছে, সেগুলো লোমহর্ষ ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারকে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানালেও সরকার কর্ণপাত করছে না; বরং দিন দিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা বাড়িয়েছে। 

এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ভয়ভীতির কারণে দেশব্যাপী সরকারের নির্মম, নির্দয় অত্যাচার ও নিপীড়নের সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য আসছে, সেগুলো রীতিমতো লোমহর্ষ এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

তিনি বলেন, আগেও এসব অন্যায়, অত্যাচার, আটক, নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদ করা হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিস্ট ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকার তা কর্ণপাত করেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সরকারের এসব মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তা বন্ধ করার আহ্বান জানালেও সরকার তা অব্যাহত রেখেছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি করছে। 

এ সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক গোলাম পরওয়ারকে আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, বারবার রিমান্ডে নেওয়া এবং রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন সংবিধানবিরোধী। সর্বোচ্চ আদালতের এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনের কারণে সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের কারফিউ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ব্লক রেইড করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অনেককে তুলে নিয়ে গেলেও তাঁদের খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না। আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেককে ৪-৫ দিন বা এরও বেশি সময় পর আদালতে নেওয়া হচ্ছে। 

রিমান্ডে নিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থী বা নেতা-কর্মীদের আটক করতে বাসাবাড়িতে অভিযানের নামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ ও বাসার আসবাব ভাঙচুর করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশে মৃতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অনেক ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে। 

চলমান আন্দোলনে সরকারঘোষিত নিহতদের নাম ও সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশ-বিদেশের সব নাগরিক দেখার পরও রংপুরের আবু সাঈদের মৃত্যুকে গুলিতে নয়, ইটের আঘাতে মৃত্যু বলা হচ্ছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সব দায় নিয়ে সরকারের উচিত জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পদত্যাগ করা। তিনি গ্রেপ্তার করা সব শিক্ষার্থী ও দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ, নিঃশর্ত মুক্তি এবং গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত সন্ধান না পাওয়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের জনসমক্ষে হাজির করার আহ্বান জানান।

বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে কারও ছবক নেওয়া লাগবে না: আমীর খসরু

সালাহ্উদ্দিনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ডেমরায় বিক্ষোভ মিছিল

নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বসলে সরকারের আত্মবিশ্বাস থাকবে: মির্জা ফখরুল

নেতা–কর্মীদের বক্তৃতা ও স্লোগান দেওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

শিবিরের ৬০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, কে কোন পদ পেলেন

গণ-অভ্যুত্থানের সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না: সিপিবি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগমের প্রত্যাবর্তন

আ.লীগ নেতা গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদও ক্রোকের নির্দেশ

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে: মির্জা ফখরুল

সেকশন