নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোট বর্জনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ সর্বাত্মক প্রতিবাদ জানাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা দক্ষিণ জেলা কমিটির উদ্যোগে ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ’ শিরোনামে সমাবেশে প্রিন্স এসব কথা বলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকার অগণতান্ত্রিক পথে পুনরায় ক্ষমতায় থাকতে দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘জুয়া খেলায়’ মেতেছে। ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে সর্বাত্মক নীরব প্রতিবাদ জানাবে দেশের সাধারণ মানুষ।
দেশের বিচারব্যবস্থা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে প্রধানমন্ত্রী মুখে মুখে ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা সেজেছেন। চাঞ্চল্যকর বহু হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণের দাগি আসামি, ব্যাংক ডাকাতির হোতারা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে অপব্যবহার অতীতের সকল নজির অতিক্রম হয়েছে বলে সমাবেশে মন্তব্য করেছেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার। তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকারের সমাধির ওপরে দাঁড়িয়ে নকল নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। কিন্তু শিগগিরই শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনতার সংগ্রাম বিজয়ী হবে।
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাফি রতন, অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন, ফজলুর রহমান, নিমাই গাঙ্গুলী, হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, দেশের রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটবে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কণ্ঠরোধ করতে সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে চরম ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী দিয়ে সারা দেশের কারাগারগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। দেশ এক ভীতি ও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।
সমাবেশের আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব, কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে পল্টন মোড়, বিজয় নগর, পল্টন লাইন, বাইতুল মোকাররম উত্তর গেট হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে গিয়ে সমাবেশে এক হয়।