ক্রীড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস-এক সময়ের বার্সেলোনায় রাজত্ব করা ফুটবলাররা এখন খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে যখন বার্সা খেলোয়াড়দের পুনর্মিলনী হয়েছে, নেইমারের নামটাও চলে আসে আপনাআপনি। ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের মায়ামিতে খেলার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে বারবার।
নেইমার বর্তমানে আছেন আল হিলালে। ২০২৫ সালে সৌদির ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তি শেষ হবে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ডায়রিও এএসের পরশু রাতের এক প্রতিবেদনে ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের মায়ামিতে আসার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। সেখানে জানা গেছে, ফুটবলারদের দলবদলের কাজ শুরু হয়েছে মায়ামিতে। এরই মধ্যে সিজে দস সান্তোস, লিওনার্দো কাম্পানার মতো দুই তারকা খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের (সান্তোস, কাম্পানা) বিক্রি করে পেরোল বাজেটে বাড়তি যোগ হয়েছে ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৪৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ামির ডিপির (নির্ধারিত খেলোয়াড়) জায়গাটা। বর্তমানে মেসি, সার্জিও বুসকেতস ক্লাবটির ডিপি হিসেবে আছেন।
এক সময়ের স্প্যানিয়ার্ড কলোনি হওয়ায় মায়ামির নাম ঘুরেফিরে আসে বারবার। মেসির ইন্টার মায়ামিতে স্প্যানিশ ক্লাব থেকে তারকা খেলোয়াড়দের আসার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বারবার। আঁতোয়া গ্রিজমানের নতুন মৌসুমে মায়ামিতে আসার গুঞ্জন চলছিল গত কদিন ধরে। ক্লাবটির নতুন মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে তিনি খেলবেন বলে আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। পরে গ্রিজমানের ঠিকানা বদলে হয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (এলএএফসি)। এলএএফসিতে তাঁর জাতীয় দলের দুই সতীর্থ হুগো লরিস ও অলিভিয়ার জিরু খেলেছেন।
নেইমারের আসার গুঞ্জন থেকে ইন্টার মায়ামি যতই দূরে থাকার চেষ্টা করুক, ক্লাবটির সত্ত্বাধিকারী হোর্হে মাস তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। ক্রীড়াভিত্তিক এক ওয়েবসাইটে মাস বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে তাকে (নেইমার) পাওয়া যাবে কি না। এখন সে আল হিলালে খেলছে। আমাদের কাছে নেই। কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমাদের বাজেট তো অসীম। নেইমারের মতো তারকাকে পাওয়ার সুযোগ পেলে আমরা মোটেও সেটা হাতছাড়া করব না।’
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ফেয়ার প্লে পলিসি গত মৌসুমে মায়ামির জন্য অন্যতম বড় একটা মাথাব্যথার কারণ ছিল। জোসেফ মার্তিনেজকে বাদ দিয়ে লুইস সুয়ারেজকে নিয়েছিল মায়ামি। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময় নেইমার, আনহেল দি মারিয়ার মতো তারকাদের আসার গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটা দ্রুত মিলিয়ে গিয়েছিল আর্থিক জটিলতার কারণে।
নেইমারের এবার মেসির মায়ামিতে আসা নিয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে বেশি। ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড মায়ামির সমুদ্রসৈকতের কাছে ২ কোটি ২৬ লাখ ডলার (বাংলাদেশি ৩০৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা) খরচ করে বাড়ি কিনেছেন। তাছাড়া ২০২৩ সালে আল হিলালের সঙ্গে নেইমারের চুক্তি হলেও খেলতে পেরেছেন কেবল ৭ ম্যাচ। কারণ, চোটে পড়াতেই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বেশির ভাগ সময় কেটে গেছে।