নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্য রকম বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভাবমূর্তি নিয়ে টানাটানি। বিশেষ করে পারিশ্রমিক ইস্যুতে বিপিএল চরম বিতর্কিত টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। বিপিএলের বিতর্কিত ঘটনা মানে বিসিবি তথা দেশেরই ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পরীক্ষান্তে খতিয়ে দেখতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে আজ।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ বিপিএলকে কেন্দ্র করে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া থাকা সংক্রান্তে উত্থাপিত ইস্যুসমূহ যথাযথ পরীক্ষান্তে খতিয়ে দেখতে একটা সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো।’ তিন সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এই বিপিএলটা অন্য রকম করে তুলতে সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, কমিটি গঠনের চিঠির শুরুতেই সেটা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৫ বিপিএলকে সাজানো হয়েছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং কিছু উদ্ভাবনী ধারণা দিয়েছিলেন। তিনটি ক্রীড়া অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কারে বড় অঙ্কের (প্রায় ৩১ কোটি টাকা) অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল।
বিপিএল শুরুর আগে ব্যয়বহুল কনসার্টও আয়োজন করেছিল বিসিবি। কিন্তু টুর্নামেন্টের পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি পারিশ্রমিক ইস্যুতে বিপিএল তথা বিসিবির ভাবমূর্তি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে! বিতর্কিত ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটি স্তরে এতটা অপেশাদার আচরণ অতীতে কখনো দেখা যায়নি বিপিএলে। এমনকি বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি দল ম্যাচ খেলতে নামে বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই।