নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশকে প্রথম কোনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন সদস্য ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম।
চোটের কারণে তামিম ইকবাল নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন জুনিয়র তামিম। অথচ এই বছরের শুরুতেও আলোচনায় ছিলেন না এ বাঁহাতি ব্যাটার। সর্বশেষ বিপিএলেও সুযোগ পাননি তিনি। তবে নিজেকে প্রস্তুত করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন তামিম। গত মাসে ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পথটা তৈরি করেন।
দলে সুযোগ পেয়ে আজ তামিম জানালেন, বাংলাদেশের হয়ে এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে চান তিনি। বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এলেন তামিম। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন এল, তামিমসহ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের চার ক্রিকেটার-তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি আছেন এবারের এশিয়া কাপের দলে।
সবকিছু ঠিক থাকলে, তাঁদের সুযোগ আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলেও জায়গা করে নেওয়ার। তবে চারজন যখন একসঙ্গে বসেন কিংবা দেখা হয়, কি আলোচনা হয় নিজেদের মধ্যে? জুনিয়র তামিমের সাহসী উত্তর, ‘আমরা যেটা অর্জন করছি সেটা তো অতীত এখন। সবার মধ্যে একটাই কথা হয়, একটা স্বপ্ন, বড়দের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। সবারই যখন দেখা হয়, সামনে যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপ একটা জিনিসই মাথায় কাজ করে, আমরা এশিয়া কাপ বা যত টুর্নামেন্টই খেলি ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে কিন্তু বিশ্বকাপ থেকেই যায়–ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করব এবার। যদি কপালে থাকে ইনশা আল্লাহ হয়ে যাবে।’
মাঝে নিজের খারাপ সময়টা নিয়েও বললেন, ‘আসলে দেখেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনে ভালো সময় খারাপ সময় আসবেই। এটা মেনে নিতে হবে। খারাপ সময়টা কীভাবে কাটিয়ে উঠব সেই জিনিসটা মূল ব্যাপার। চেষ্টা করছি ওই সময় খারাপ সময়টাই কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কথা বলছি। আমার যেখানে সমস্যা-দুর্বলতা ছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ধীরে ধীরে এভাবে রানে ফিরছি। এই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করে।’