ক্রীড়া ডেস্ক
১৪ ওভার পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৯১ রান ছিল ফরচুন বরিশালের। স্কোর দেড় শ হবে কি না সেই শঙ্কাই জেগেছিল। দলের কঠিন পরিস্থিতিতে ঢাল হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন। সপ্তম উইকেটে ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। শেষ দিকে রিশাদ চালিয়েছেন তাণ্ডব, যার সৌজন্যে শেষ ৩৬ বলে ৭৬ রান তুলেছে বরিশাল। দলীয় স্কোর হয়ে গেল ৯ উইকেটে ১৬৭।
গতকাল বিপিএলে রিশাদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারায় বরিশাল। ব্যাট হাতে ১৯ বলে ৩৯ রান, বোলিংয়ে ১৭ রানে ১ উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া রানআউট। ম্যাচসেরা পুরস্কারও হাতে তুলেছেন রিশাদ।
দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিংয়ে হাল ধরা প্রসঙ্গে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে রিশাদ বললেন, ‘নিজের প্রতি ধৈর্য ও বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজের শক্তিমত্তার বাইরে যাইনি। চেষ্টা করেছি দলকে কীভাবে ব্যাটিংয়ে সাহায্য করা যায়।’
তবে অপর প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ সাহস জুগিয়েছেন রিশাদকে। সে কথা উল্লেখ করে এই লেগ স্পিনার বলেছেন, ‘আমি শুধু নিজের পরিকল্পনায় ছিলাম। রিয়াদ ভাই ছিলেন, অনেক সহায়তা করেছেন। তিনি বলছিলেন, নিজের শক্তিতে থাকতে, ভালো বল সম্মান দেখাতে এবং বাজে বল মেরে দিতে।’
উইকেটে যাওয়ার আগে কোনো পরিকল্পনা ছিল না রিশাদের। ব্যাটিংয়ের সময় শুধু মাহমুদউল্লাহর পরামর্শই কাজে লাগিয়েছেন, ‘আসলে কোনো কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে যাইনি। রিয়াদ ভাই সঙ্গে ছিলেন। তিনি শুধু বলেছিলেন, কখন কী করতে হবে। তো এখানে আগের থেকে কী হবে না হবে, সেসব পরিকল্পনা করার কিছু নেই।’
খুলনার ব্যাটিং কোচ বলেছিলেন, শেষ মুহূর্তে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের রান-আউট তাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। সীমানা থেকে অঙ্কনকে আউট করা থ্রো করেছিলেন রিশাদই। এই অলরাউন্ডার বললেন, ‘আসলে সীমানায় ফিল্ডিং করলে এ রকম সুযোগ কয়েকটা আসে। (দৌড়ে) ধরে ফেলতে পেরেছি, এ জন্য অ্যাডজাস্ট করে (থ্রো) মেরে দিয়েছি আর কী। এসবের জন্য ফিল্ডিং অনুশীলন একটু ভিন্ন হয়...আক্রমণাত্মক, যেহেতু সীমানায় ফিল্ডিং করি। স্লগ ওভারে সীমানায় ফিল্ডিং করলে একটু আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী থাকতে হয়।’