ক্রীড়া ডেস্ক
গত শতকের আশির দশকে ভীষণ রকম জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বিবিসি ওয়ানের কমেডি সিরিজ ‘ব্ল্যাকঅ্যাডার’। মিস্টার বিন সিরিজের আগে এই সিরিজ দিয়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন। একই সিরিজে জেনারেল ম্যালচেট চরিত্রে দর্শকদের দারুণ বিনোদন জুগিয়েছিলেন স্টিফেন ফ্রাই।
এরপর চার দশক ধরে নিজের অভিনয় দিয়ে ব্রিটেনের শীর্ষ সারির অভিনেতাদের একজন হয়েছেন স্টিফেন ফ্রাই। একাধারে তিনি লেখক, পরিচালক, সাংবাদিক, কবি, উপস্থাপক। তবে মানুষ তাঁকে সবচেয়ে বেশি জানে একজন কমেডিয়ান হিসেবে। সেই কমেডিয়ান এবার পরিচিত হতে চলেছেন নতুন আরেক রূপে। ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রেসিডেন্টের পদে বসতে চলেছেন ৬৪ বছর বয়সী ফ্রাই।
লর্ডসে সবশেষ সাধারণ বার্ষিক সভায় নিজের উত্তরসূরি হিসেবে ফ্রাইয়ের নাম ঘোষণা করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্লেয়ার কনর। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এমসিসির প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন ফ্রাই। এমসিসির ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে ফ্রাই বলেছেন, ‘এমসিসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আমি ভীষণ গর্বিত। এই ক্লাবটা বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই ক্লাবের শীর্ষ পদে বসতে পারাটা আসলেই অসাধারণ।’
ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত বলে খ্যাতি আছে ফ্রাইয়ের। ক্রিকেটারদের বাইরে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে গত বছর ‘কাউড্রে লেকচার’ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেছিলেন তিনি। সেই বক্তৃতায় নিজের ক্রিকেটপ্রেম, ক্রিকেটের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলেন ফ্রাই। সেই বক্তৃতাই মূলত ক্লেয়ার কনরের কাজটা সহজ করে দিয়েছে তাঁর উত্তরসূরির পদে ফ্রাইকে বেছে নিতে।
অজস্র গুণের পাশাপাশি ফ্রাই একজন মনস্তত্ত্ববিদ। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এমন একজন ব্যক্তিকে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা রূপে দারুণ মানাবে বলে মন্তব্য কনরের। বলেছেন, ‘ফ্রাইয়ের মনের গভীরে ক্রিকেট নিয়ে আলাদা একটা ভালোবাসা আছে। এমসিসির প্রধান হিসেবে সে ক্রিকেটের দারুণ একজন শুভেচ্ছাদূত হতে পারে।’