ক্রীড়া ডেস্ক
কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুটি (২০১২ ও ২০১৪ সালে) আইপিএল শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। গৌতম গম্ভীরের ওই দলে সাকিব ছিলেন ‘অটোমেটিক চয়েস’।
অথচ সেই সাকিবই মরগানের কলকাতায় হয়ে পড়েছিলেন ব্রাত্য। বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে ম্যাচের পর ম্যাচ বসিয়ে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। দিয়েছিল পানির বোতল-তোয়ালে বাহকের অপ্রত্যাশিত ‘চাকরি’।
সাকিবকে এভাবে উপেক্ষা করে ক্ষতিটা হয়েছিল কলকাতারই। ভুলটা বুঝতে পেরে তাই ফেরানোও হয়েছে তাঁকে। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের দলে ‘নতুন লাইফলাইন’ পেয়ে সাকিবও দেখিয়ে চলেছেন তাঁর খেল।
শারজায় আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে গত রাতে তো কলকাতাকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন সাকিব (৬ বলে ৯ *)। এর আগে বল হাতে প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রানের লাগাম টেনে ধরেছেন তিনি। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৪ রান।
৩৪ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে এখন গর্বের শেষ নেই কলকাতার। অধিনায়ক মরগানের কণ্ঠেও ছিল সাকিবের স্তুতি, ‘বোলাররা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল, এরপর রান তাড়া করতে নেমেও আমরা ভালো শুরু পেয়েছি। দলে যখন নারিন-সাকিবদের মতো বিশ্বমানের স্পিনাররা থাকে, তখন তা বাড়তি সুবিধা দেয়। সাকিব গত ৩ ম্যাচ যেভাবে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে, সত্যিই অসাধারণ।’
জয়ের জন্য কাল শেষ ওভারে কলকাতার প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের করা প্রথম বলেই স্কুপ করে চার মেরে দলের জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন সাকিব। স্লোয়ার বলে স্কুপ শটে টাইমিং করা সহজ নয় কখনোই। কিন্তু স্লোয়ারটি ঠিকঠাক পড়ে সাকিব শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দারুণ দক্ষতায় বল পাঠিয়ে দেন শর্ট ফাইন লেগ ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে।
এবারের আইপিএলের সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে এটি ছিল সাকিবের তৃতীয় ম্যাচ। তবে কালই প্রথমবার পেয়েছেন ব্যাটিং। আটে নেমেও মিটিয়েছেন দলের চাহিদা।
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যোজ্জ্বল সাকিব ও তাঁর ব্যাট, প্যাড, হেলমেট, গ্লাভসের ছবি পোস্ট করে কলকাতা নাটস রাইডার্স লিখেছে, ‘আমাদের ফিনিশার ও তাঁর অস্ত্রশস্ত্র’।