ক্রীড়া ডেস্ক
টানা দুই দিন শেষ বলে জয় দেখেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। গতকাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে শেষ বলের রোমাঞ্চে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।
গতকাল বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বেঙ্গালুরু ২ উইকেটে করে ২১২ রান। ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৯ রানেই ৪ উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। ৬ নম্বরে নেমে ঝোড়ো ফিফটি করে নিকোলাস পুরান সহজ করে দেন সমীকরণ। শেষ বলে নিষ্পত্তি হওয়া এই ম্যাচে ১ উইকেটে জেতে লক্ষ্ণৌ। হাইস্কোরিং এই ম্যাচে হয়েছে একগাদা রেকর্ড।
১৫ বলে ফিফটি: ১৫ বলে ফিফটি করেছেন পুরান। আইপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ১৫ বলে এর আগে ফিফটি করেছেন ইউসুফ পাঠান ও সুনীল নারাইন। আইপিএলে দ্রুততম ফিফটি হয়েছে ১৪ বলে। ১৪ বলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন লোকেশ রাহুল ও প্যাট কামিন্স।
শেষ বলে ১ উইকেটের জয়: আইপিএলের ইতিহাসে শেষ বলে ১ উইকেটের জয়ের ঘটনা ঘটেছে দুটি। এর আগে ২০১৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে এমন রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
সর্বোচ্চ রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌ: এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইপিএল খেলছে লক্ষ্ণৌ। তাতে আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডে সেরা পাঁচে দুবার নাম লিখিয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। বেঙ্গালুরুর দেওয়া ২১৩ রান তাড়া করে লক্ষ্ণৌর জয় আইপিএল ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। নিজেদের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ে লক্ষ্ণৌ।
ঝোড়ো গতিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান: ১৯ বলে ৬২ রান করেছেন পুরান। উইন্ডিজ এই ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ৩২৬.৩২। আইপিএলে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড প্যাট কামিন্সের। গত বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৫ বলে ৫৬ রান করেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার খেলেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।